Get Shopify 3 months free trial just for $1/month

Bangla

কক্সবাজার ট্যুর ফেব্রুয়ারী ২০২১

লকডাউনে টানা একবছর কাজ করতে করতে বোরিং হয়ে গেছিলাম । কক্সবাজার ট্যুরের প্লান ছিলো ডিসেম্বরে । কিন্তু ডিসেম্বরের দিকে দেখা গেলো টানা কয়েকদিন সরকারী ছুটি । ফলাফল হোটেল, রিসোর্স সবকিছুতেই সিট বুকড সাথে স্পট এরিয়াগুলা হয়ে গেছে গুলিস্থান । তাই প্লান চেঞ্জ করে ফিক্সড করলাম ফেব্রুয়ারীর ৬ তারিখ শনিবার । শনিবার ট্যুর শুরু করাতে স্পটে তেমন ভীড় থাকে না। ছুটির দিনেই যত সমস্যা । ফ্রিল্যান্সিং কাজের এটাই সবচেয়ে বড় সুবিধা যেকোন সময় ল্যাপটপটা নিয়েই বের হওয়া যায় । কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না । আমার ট্যুরের একমাত্র সঙ্গী ছিলেন জুয়েল ভাই (Front End Designer at Lurn). জুয়েল ভাই আগে থেকেই মারমেইড রিসোর্ট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন । আমি এয়ার টিকেট নিয়ে রেখেছিলাম US Bangla Airlines এর ।

প্রথম দিন – ৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার

আমাদের জামালপুর জেলা বা আশপাশে এয়ারপোর্ট নেই । তাই ঢাকা থেকেই আমাদের চলাচল করতে হয় । ৬ তারিখ বিকেল ৪ টার তিস্তা ট্রেনে রওনা হলাম ঢাকায় । রাত ৮ টার দিকে এয়ারপোর্ট স্টেশনে নেমেই চলে গেলাম হোটেলে । নামটা মনে নেই । কাছাকাছিই ছিলো এয়ারপোর্ট থেকে। ব্যাগব্যাগেজ রেখে ইফুডে খাবার অর্ডার দিয়ে নিচে নেমে এলাম রাজা মামার দোকানের চা খেতে।

চা শেষ করতে করতেই খাবার হাজির । নিয়ে সরাসরি হোটেলে এসে খেয়েদেয়ে একটা ঘুম ।

দ্বিতীয় দিন – ৭ ফেব্রুয়ারী রবিবার

সকালে ঘুম থেকে উঠেই হেটেই চলে গেলাম এয়ারপোর্টে । ৮ টার ফ্লাইট পিছিয়ে করলো ৯ টা । সিম্পল চেকিং শেষেই বোর্ডিং পাস নিয়ে উঠে গেলাম বিমানে । করোনার কারনে নাস্তার বদলে দিলো একটা পানির বতল । মেজাজ যা খারাপ হইছিলো । এমনিই নাস্তা করে উঠি নাই সকালে । বোয়িং বিমানে শব্দ একটু বেশিও মনে হয় । এয়ারপডের নয়েস কেনসেলেশন ভালো কাজে দিছে । ১০ টায় কক্সবাজারে ল্যান্ডিং ।

কক্সবাজার এয়ারপোর্ট

এয়ারপোর্ট আগে থেকেই আমাদের জন্য সিএনজি ওয়েট করতেছিলো । Mermaid Resort থেকে ওরাই ম্যানেজড করে পাঠিয়ে দিছিলো । লোকাল ড্রাইভারগুলা আজগুবি ভাড়া হাকে ।

সিএনজিতে লফিন মোড়ে গিয়ে প্রথমেই নাস্তা করে নিলাম । এরপর মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে চলতে থাকলাম । হিমছড়ি বিচে নেমে একটু সৈকতে হেটে আবার রওনা দিলাম রিসোর্টের দিকে ।

Mermaid Eco Resort এ আসার পরই ফুলের মালা আর ডাবের পানি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাইলো । স্টাফরা অনেক বিনয়ী । একম সুন্দর একটা পরিবেশ ।

কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর চলে আসলাম আমাদের বুকিং করা রুমে। রিসোর্টের সামনে নাম লিখে লাখছিলো । এরপর ফ্রেশ হয়ে রিসোর্টের রেস্টুরেস্টে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম । মাত্রাতিরিক্ত বিল নিছে সবকিছুর । শুধু দুইজনের দুপুরের খাবারেই চলে গেছে ২০০০ টাকার মতো । এখানে ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করার সুবিধা আছে । আমাদের নগদ ক্যাশ খুব কমই ব্যবহার হয়েছে ।

খাবার খেয়ে বিকেলের দিক চলে আসলাম ইনানি বিচে । একদম লোকজন নেই । অথচ ছুটির দিনে এখানে গুলিস্থান হয় ।

ইনানি বিচ ঘুরে এসে Mermaid Resort এর রেস্টুরেন্টে খেয়ে রাতে একটু হাটাহাটি করে চলে আসলাম রুমে । বারান্দায় সুন্দর একটা ব্যবস্থা করছে রিলাক্সের জন্য । এখানে শুয়ে সাগরের গর্জন, মৃদু আলো, কোলাহলহীন জোস একটা পরিবেশ । ১২ টার দিক রুমে এসে ল্যাপটপ বের করে কিছু কাজ করলাম । ১ টার দিক দিলাম এক ঘুম ।

তৃতীয় দিন – ৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার

সকালে উঠেই বুফে নাস্তা করে নিলাম রিসোর্টেই । এরপর আমি কিছু কাজ করলাম । একটা ডেডলাইন ছিলো প্রজেক্টের । শেষ করেই চেক আউট করে চলে আসলাম কক্সবাজার শহরে । Hotel SeaCox এ উঠলাম । ব্যাগ রেখেই চলে গেলাম প্যরাসাইক্লিং করতে হিমছড়ির দিকে । বাতাস সমস্যার কারনে একটা টিম বন্ধ রাখছে । আরেকটা টিম করতেছে কিন্তু টাইম বেশি দিবে না । ৫ মিনিটের মতো । কনফার্ম করতেই দ্রুত রেডি হয়ে শুরু হইলো আমার পর্ব । জোস একটা অভিজ্ঞতা ।

এরপর চলে আসলাম কক্সবাজার শহরে । সুগান্ধা বিচে রাত পর্যন্ত ঘুরে হোটেলে চলে আসলাম । এরমধ্যে নিউজ এলো ভার্সিটির ফরম পুরন করতে হবে কালকে । মেজাজটা সেইরকম খারাপ হইলো । সারাজীবন ক্লাসের খোজ নাই আর একদিন ট্যুরে আসছি দিছে ফরম পুরনের নোটিশ । সকালের ফিরতি এয়ার টিকেট করে দিলাম একটা ঘুম ।

চতুর্থ দিন – ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার

সকালে হোটেলের বুফেটে নাস্তা করে সব গোছিয়ে চলে আসলাম এয়ারপোর্টে । ১১:৩০ টার ফ্লাইট চেঞ্জ হইলো ১ টায় । এদিকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের টিকেটও করা ২:৩০ এর । ঢাকায় এসেই আবার চেকিং, বোর্ডিং পাস নিয়েই সৈয়দপুর ফ্লাইটে । ৪ টার আগে আগে সৈয়দপুর পৌছাইলাম । আমার এক গৃহপালিত ড্রাইভার আছে রংপুরের। ফোন দিছিলাম ঢাকায় থাকতেই । সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট নেমেই দেখি দাড়িয়ে আছে । সাড়ে ৫ টার দিক চলে গেলাম একবারে ভার্সিটিতে ।

বিমান থেকে যমুনা নদী । US Bangla বিমানের জানালার কন্ডিশন থেকে বমি আসার মতো । জীবনেও মনে হয় পরিষ্কার করে না ।

কেমন খরচ

এটা অনেকটা রিলাক্স ট্যুর ছিলো তাই কত খরচ গেছে হিসাব করি নি ।

টোটাল এয়ার টিকেট খরচ – ৯,৯০০

Mermaid Resort + Seacox – ৬৫০০+ ২২০০

খাবার খরচ – ৪০০০ (আনুমানিক)

প্যারাসাইক্লিং – ২২০০

ভাড়া সহ টুকিটাকি সব মিলে ৩০ হাজারের মতো খরচ । নতুন চালু হওয়া মেরিন ড্রাইভ ট্যুরিস্ট বাস ও সেন্টমার্টিন প্লান ছিলো । হয়তো পরে সেটা হবে ।

About author

I am Atikur Rahman Shohel, Head of business development at ITFLE LTD. I leading a small team providing global eCommerce solutions around the globe.
Related posts
Bangla

ফাইবার আগস্ট কোর আপডেট এবং টপ গিগের সার্চ রেজাল্ট থেকে পতন সমস্যা এবং সমাধান

Bangla

আমি কি কাজ করি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *