সবাই লক্ষ্য করেছেন যে ফাইবার আগস্ট মাসে একটি কোর আপডেট নিয়ে আসে । সেই আপডেটের কারণে দেখা যায় অনেক বড় বড় গিগ, টপ সেলার, লেভেল ২ সেলার সহ অনেক বড় বড় সেলারের গিগ সার্চ রেজাল্ট থেকে হঠাৎ করে হারিয়ে যায়। আগস্ট মাসের এ আপডেট আসলেও আমার গিগে ইফেক্ট পড়ে ডিসেম্বরে । আর সেই ডিসেম্বরে আমার গিগ হঠাৎ সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজ থেকে সরে যায় একদম লাস্ট পেইজে ।
নোট: আমার আইডি এপ্রিল 2020 খোলা এবং আমার বেস্ট সেলার গিগ র্যাংকে আসে জুন 2020 এ । জুলাই 2020 আমারে কি একদম সার্চ রেজাল্টের প্রথম চলে আসি । এরপর থেকে টানা ডিসেম্বর পর্যন্ত আমার গিগ একদম প্রথম অবস্থানে থাকে । ডিসেম্বরে র্যাংক ডাউনের পর দেখা যায় আমার গীগ একদম সর্বশেষ পেইজে চলে গেছে । যদিও আমার অর্ডার রানিং ছিল সেজন্য বেশি ইফেক্ট পড়েনি কভার করতে ।
ডিসেম্বর আমেরিকায় প্রচুর বরফ পড়ার করার কারণে বরাবরের মত কাজের পরিমাণ কম ছিল । সেজন্য বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক এনালাইসিস করার সময় পাই এবং করতে থাকি । ফলাফল ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমার গিগ সেই প্রথম অবস্থানে চলে আসে । কিভাবে আমি আগের অবস্থানে ফিরে এসেছি এবং কেন এমনটা হচ্ছে সেটা নিয়েই লিখবো বিস্তারিত ।
ফাইবার আগস্ট কোড আপডেট কেন এবং ইফেক্ট কতটুকু
আমি ফাইবার এর সাথে যুক্ত আছি 2014 সাল থেকে । ফাইবার যখন প্রথম শুরু হয় তখন দেখা যায় কোন রকম একটা গিগ দিলে কাজের অভাব হতো না । এমনকি একটা আইডি তৈরি করে ফেলে রেখে দিলেও সেখানেই অর্ডার পড়তো । কিন্তু দিন দিন ফাইবারে ফ্রিল্যান্সার বাড়তে থাকে আর কাজের পরিমাণ বাড়লেও তুলনামূলকভাবে কাজের পরিমাণ সেরকম বাড়েনি । এখন ফ্রিল্যান্সারের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে সর্বোচ্চ হারে ।
টেকনোলজি আপডেট হবার কারণে ফাইবার এখন মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে কাস্টমারদেরকে সর্বোচ্চ সার্ভিস দিতে ।প্রচুর গিগ আছে যেগুলোতে অর্ডার এবং রিভিউ অনেক বেশি কিন্তু কাজের কোয়ালিটি একদম নিম্নমানের । তাদের রিভিউ এবং আইডির বয়স দেখে বায়াররা মনে করেন তারা অনেক দক্ষ কিন্তু সত্যিকার অর্থে তারা বেস্ট কোয়ালিটি দিতে পারেন না । আবার অনেক নতুন আইডি আছে যেগুলো অনেক ভালো মানের কাজের কোয়ালিটি দিতে পারে কিন্তু নতুন আইডি হওয়ার কারণে তাদের রিভিউ অনেক কম । সেজন্য বায়াররা এসে অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় । ফলাফল তারা ভালো সার্ভিস পায়না । আবার টপ রেজাল্ট এ থাকা অনেক অর্ডার থাকা গিগ ক্লাইন্টকে ঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেনা । ফলে ভালো কোয়ালিটির কাজ হয়না।
সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকান অনেক ইউটিউব চ্যানেলে ফাইবার কে নিয়ে অনেক নেগেটিভ রিভিউ রয়েছে। ফলে ফাইবার তাদের মার্কেটপ্লেস কোয়ালিটি শক্ত করার জন্য এই কোর ডেট নিয়ে আসে । এর ফলে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ কোয়ালিটি দেওয়া গিগই প্রথমে থাকবে এবং যারা ভালো কোয়ালিটির কাজ দিতে না পারবে বা ক্লায়েন্টকে কে সন্তুষ্ট করতে না পারবে তারা একদম পেছনের অবস্থানে চলে যাবে ।
ধরুন আপনার আপনার কি ওয়ার্ডের সার্চ রেজাল্ট মোট 40 পেজ আসছে । আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির কাজ দিতে না পারেন তবে আপনার গিগ সার্চ রেজাল্টে চলে যাবেন একদম 38 থেকে 40 নাম্বার পেইজে । এই সময় আপনি যদি ফাইবারের সাপোর্টের গিগ চেকার দিয়ে টেস্ট করেন তবে দেখবেন আপনার গিগ একটিভ এবং সার্চ রেজাল্ট অ্যাক্টিভ কিন্তু আপনি সার্চ রেজাল্ট থেকে একদম পেছনে চলে গেছেন । এটাকে বলা যায় অনেকটা ব্ল্যাকলিস্ট টাইপ । কাজে আসবে না ফাইবার থেকে । এই সময় আপনার কাজ আপনাকে নিজে খুঁজে নিতে হবে । যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ দিতে পারেন তবে পুনরায় চলে আসবেন সামনে।
লেবেল পাবার পর যেকোনো কাজ আসতেছেনা বা সার্চে নেই
এটা ঠিক সেই কোর আপডেট কারণেই । আপনি কাজের কোয়ালিটি ভালো দিতে না পারলে আপনি পেছনে চলে যাবেন স্বাভাবিক । এই সময় আপনার লেভেল আসুক কিংবা না আসুক, আপনি টপরেটেড কিংবা নিউ সেলার সেটা কোন বিষয় না । ফাইবার অ্যালগরিদম নিজ থেকে সেটা পরিমাপ করে আপনার গিগের অবস্থান নির্ধারন করবে । ধরুন আপনি এখন লো কোয়ালিটি কাজের জন্য পেছনে চলে গেলেন কিন্তু এখন আপনার লেবেল পাবার কথা বা রিসেন্টলি পেয়েছেন । এখন আপনি ভাববেন যে আপনি লেভেল পাবার কারণে পেছনে চলে গেছেন । কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনি ফাইবারের low-quality কাজের জন্য বা ক্লায়েন্টকে কে ভালোভাবে সন্তুষ্ট না করার কারনে আপনি পেছনে চলে গেছেন । এইখানে লেবেল কোন বিষয় না। ফাইবার অ্যালগরিদম এর কারণে আপনি পেছনে চলে গেছেন । যেটা আপনি দেখতে পারেন না । কিন্তু আপনি লেভেল দেখতে পারতেছেন বলে ভাবতেছেন যে লেভেল পাবার কারণে পেছনে চলে গেছেন।
ফাইবার অ্যালগরিদম যেভাবে কাজের কোয়ালিটি চেক করে বা ক্লায়েন্ট সন্তুষ্টি চেক করে
এই বিষয়টা নিয়ে যতটুকু আমি এনালাইসিস করেছি আমি দেখেছি ফাইবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় প্রাইভেট ফিডব্যাককে । ধরুন আপনার র্যাংক নির্ভর করে ৫০% প্রাইভেট ফিডব্যাক এর উপর, ৩০% পাবলিক রিভিউ এর উপর আর বাকি ২০% নির্ভর করে ছোটখাটো বিভিন্ন কিছুর উপর যেমন গিগের মেটা ডিস্ক্রিপশন, এসইও, এসব আইডির বয়স, কেনসেল রেট, অন টাইম ডেলিভারি । আশা করি বুঝতে পারছেন প্রাইভেট ফিডব্যাক কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ । ফাইবার কখনো তাদের অ্যালগরিদম মেট্রিক্স প্রকাশ করবেনা । ৫০% প্রাইভেট স্কোর আনুমানিক । হতে পারে এটা কম কিংবা আরো বেশি।
আপনার প্রতিটা অর্ডার রিভিউয়ে যেমন রেটিং নিয়ে গড় রেটিংটা আপনার গিগের পাবলিক রেটিং হয়, ঠিক তেমনি আপনার সবগুলো অর্ডার এর উপর প্রাইভেট ফিডব্যাক এর উপর একটা রেটিং হয় । যেটা আপনি দেখতে পারেন না কিন্তু ফাইবার দেখতে পারে ।
ধরুন আপনার প্রাইভেট ফিডব্যাক 4.0 এর নিচে নামলে আপনাকে ফাইবার ব্ল্যাকলিস্ট এ ফেলে দিবে । আপনি সার্চ রেজাল্টে থেকে একদম পেছনে চলে যাবেন। এটা কিন্তু একটা নির্দিষ্ট গিগের জন্য নয়, এটা একটা পারসন ব্ল্যাকলিস্ট । মানে আপনার যদি একটা গিগ পেছনে গিয়ে থাকে তাহলে আপনার সবগুলো গিগই পেছনে যাবে ।
ফাইবার ফেক রিভিউ
অনলাইনে ফেক রিভিউ বিষয়ে আমেরিকান অনেক শক্তিশালী গণমাধ্যম এবং এমনকি বিবিসি পর্যন্ত প্রতিবেদন করেছে । অনেক ইউটিউবার যাদের মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার হয়েছে তাদের একটি নেগেটিভ পোষ্ট একটা বিজনেসে অনেকটা এফেক্ট ফেলতে পারে ।আপনি ইউটিউবে “I Paid Fiverr” লিখে সার্চ করে দেখতে পারবেন ফাইবার সম্পর্কে অনেক ইউটিউবারের রিভিউ। ফাইবার একটা ক্লায়েন্টকে নিয়ে আসার পেছনে অনেক ইনভেস্ট করে । তারা এফিলিয়েটে একটা ক্লায়েন্টকে নিয়ে আসার জন্য 100-150 ডলার পর্যন্ত দেয় । 20% কুপন দেয় প্রথম অর্ডারে । সুতরাং বুঝতে পারছেন কাস্টমার নিয়ে আসার জন্য ফাইবার কতটুকু ইনভেস্ট করে ।
ফেক রিভিউ এর বিষয়ে অনেক মাধ্যম প্রতিবেদন করার কারণে ফাইবার খুব শক্ত অবস্থানে আছে । তারা ফেক রিভিউ ধরতে পারলে সরাসরি আপনার আইডি সাসপেন্ড হবে । নতুনদের মধ্যে একটা সবচেয়ে কমন বিষয় প্রচলিত যে রিভিউ নিলে আইডি সামনে চলে আসবে । হয়তো কোন সময় আসতেও পারে । কিন্তু ফাইবার অ্যালগরিদম কখনো ধরতে পারলে বা ফিউচারে ধরতে পারলে আপনার আইডি সরাসরি সাসপেন্ড হয়ে যাবে ।
ফাইবার কিন্তু সাসপেন্ডের বিষয়ে টপরেটেড কিংবা নিউ সেলার সেটা দেখে না । তাদের রুলস ব্রেক করা মানে সরাসরি সাসপেন্ড । রিসেন্ট LEDP এর কিছু ছাগল মার্কা ট্রেইনার যারা নিজেরাই ফাইবার সম্পর্কে ভালো জানে না, তারা তাদের স্টুডেন্টদেরকে ফেক রিভিউ নিতে বলে ।এটা পুরোপুরি ফাইবারের টার্মস বিরোধী । এবার ধরতে পারলে আইডি সাসপেন্ড হবে । অনেক সময় অ্যালগরিদম যদি মনে করেন আপনি রিভিউ নিয়েছেন কিন্তু আপনি 100% কনফার্ম না সেই সময় আপনাকে সেই ব্ল্যাকলিস্টে ফেলাবে । যেটা সার্চ রেজাল্ট থেকে একদম সর্বশেষ পেইজে । আপনার আইডি সচল থাকবে কিন্তু আপনি কোন কাজ পাবেন না । এই সময় আপনাকে সেই আইডি নিয়ে বসে থাকতে হবে । কারণ নতুন আইডি খুললে আপনাকে মাল্টিপল আইডির কারনে আবার সাসপেন করবে । ভুলেও ফেক রিভিউ নিবেন না । আপনি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইমেইল মার্কেটিং করে সরাসরি ক্লায়েন্ট নিয়ে আসতে পারবেন । এতে আপনার কিছুটা সময় গেলেও আপনি 100% নিরাপদ অবস্থানে থাকবে কিন্তু ভুলেও ফেক রিভিউ নিবেন না ।
কিভাবে পেছন থেকে সামনে আসবেন’ বা এই সমস্যা রিকভার করবেন
আপনার আইডি যদি অলরেডি পেছনে গিয়ে থাকেন বা সার্চের রেজাল্টে যদি গিগ খুঁজে না পান তাহলে প্রথমে চেক করুন যে আপনার ইম্প্রেশন ডাউন হয়েছে কিনা । এটার ডাউন একদম কম হয়ে যাবে আপনার ডেইলি ইম্প্রেশন যদি 5000 হয়ে থাকে তাহলে এটা এক হাজারের নিচে নেমে যাবে এবং সব সময় 1000 এর নিচে থাকবে। ফাইবার সাপোর্ট পেইজে দেখাবে আপনার গিগ সার্চ রেজাল্টে একটিভ আছে।
এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে আপনার প্রাইভেট রেটিং বাড়ানো । ভুলেও ফেক রিভিউ নিবেন না। এই সময় আপনার পুরাতন ক্লায়েন্টদেরকে নক দিন । তাদের কাজগুলো এমনভাবে করুন যেন তারা খুশিতে ১০ স্টার থাকলেও আপনাকে দিতেন । কারণ প্রাইভেট ফিডব্যাক এখানে গুরুত্বপূর্ণ । এই সময় যদি আপনার কোন রানিং কাজ থাকে তাহলে সর্বোচ্চ ভালোভাবে করুন । যদি আপনার সময় লাগে তাহলে একস্ট্রা সময় চেয়ে নিন । কিন্তু সর্বোচ্চ কোয়ালিটির কাজ জমা দিন যেন আপনার প্রাইভেট ফিডব্যাক সর্বোচ্চ ভালো দেয়।
যদি কোন ক্লায়েন্ট তেরামি করে বা আপনার মনে হয় সে আপনাকে নেগেটিভ ফিডব্যাক দিতে পারে বা খারাপ প্রাইভেট ফিডব্যাক দিতে পারে তাহলে কিছু ডলারের মায়া ত্যাগ করে অর্ডারটা ক্যানসেল করে দিন । আপনার প্রাইভেট ফিডব্যাক ভালো হবে, নয়তো আপনি অর্ডার ক্যান্সেল করবেন কিন্তু ভুলেও রিক্সি ক্লায়েন্টের কাজ করবেন না যারা কম রেটিং দিবে । আপনার দুই তিনটা অর্ডার ক্যান্সেল করলে আপনি আরো অর্ডার পাবেন, কিন্তু আপনি পেছনে চলে গেলে আপনার কাজ আছে একবারে বন্ধ হয়ে যাবে । সুতরাং এমন কোন কাজ করবেন না যেনো প্রাইভেট ফিডব্যাক একদম কম আসে।
আমরা অনেক সময় কোনরকম কাজটা অটোমেটেড এপ্রুভ করার জন্য ওয়েট করি । সব সময় চেষ্টা করবেন যেন ক্লায়েন্ট নিজ থেকে খুশি হয়ে আপনার ডেলিভারি অ্যাপ্রুভ করে । অটো এপ্রোভ কাজের ক্ষেত্রে প্রাইভেট ফিডব্যাক কম হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি । তাই ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি কথা বলে তার সব সমস্যার সমাধান করে সর্বোচ্চ কাজ দিয়ে তাকে অর্ডার টা এপ্রুভ করতে বলুন । কিন্তু ভুলেও তেরামি করে ওয়েট করবেন না অটো এপ্রোভ হবার ।
র্যাঙ্কিংয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এভারেজ সেলিং প্রাইস । আপনার এভারেজ সেলিং প্রাইস যদি অনেক বেশি হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই সামনের দিকে থাকবেন । আপনি যদি সামনে থাকেন তাহলে আপনি সামনের পেইজে এগিয়ে থাকবেন । আর যদি পেছনে চলে যান সেখানেও এগিয়ে থাকবেন ।
মূল কথা হচ্ছে প্রাইভেট ফিডব্যাক। আপনি হয়তো কোন একটা ক্লায়েন্টের কাজ অনেক রিভিশন নিয়ে করলেন ভাবলেন ক্লায়েন্ট আপনাকে নেগেটিভ রিভিউ দিবে কিন্তু আপনাকে ৫ স্টার দিল । দেখা গেল আপনাকে ৫ স্টার দিলেও আপনার প্রাইভেট ফিডব্যাক আপনাকে খুব কম দিল । তাই ক্লায়েন্টের সর্বোচ্চ ভালো কাজ করার মন-মানসিকতা রাখুন এবং তাকে সবচেয়ে বেস্ট কাজ সাবমিট করুন । প্রয়োজনে আপনি আপনার গিগের ডেলিভারি টাইম বাড়িয়ে দিন যেন টাইম নিয়ে কাজ করতে পারেন কিন্তু ভুলেও লো কোয়ালিটির কাজ সাবমিট করবেন না । যেটা আপনার প্রাইভেট ফিডব্যাকে এফেক্ট পেলে।
আমি সরাসরি আমার আইডির গিগের এবং ডাউন রিকভার এর ভিডিও আপনাদের দেখাচ্ছি যেন খুব সহজে বিষয়টি বুঝতে পারে। দয়াকরে কেউ মেসেজ দিবেন না । যদি কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করতে পারেন । যতটুকু পারি উত্তর দিবো । সেম প্রশ্ন অন্যকারোও থাকতে পারে ।